২৮-২৯ জুন জাপানের ওসাকা শহরে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ জি-২০ বৈঠক। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল ১৯টি দেশ (ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, মেক্সিকো, জাপান, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক ও ইউ.কে.) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ, পরিবেশ ও এনার্জি, ইনোভেশান, নারী ক্ষমতায়ন, ডেভেলাপমেন্ট, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য। প্রথমেই বলে রাখা দরকার, আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ এবং আগামী কিছু মাসে নয়াউদারবাদী অর্থনীতি কোন পথে এগোবে, তা বাদ দিলে বাকি সমস্ত বিষয়ে ফাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া কোনও কাজের কাজই হয়নি। বিশ্বজোড়া যুদ্ধ পরিস্থিতি বা বিশেষ ক্ষেত্রে মানবতার সংকটের উদ্রেক সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে ঢোক গিলেছেন প্রায় সকল দেশই। সন্ত্রাসবাদ দমনের শপথ ছাড়া এবিষয়ে আর কোনও বিবৃতি উঠে আসেনি। তবে এই বৈঠকে ট্রাম্প যথারীতি মধ্যমণি থেকেছেন। ইউ.এস.-চীন ট্রেড যুদ্ধ এড়িয়ে সুরাহার পথ খোঁজার চেষ্টা চলেছে। চেষ্টা চলেছে তুরস্ক, সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মত দেশগুলির সাথে পশ্চিমী দেশগুলির সম্পর্কের উন্নতি ও বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধির প্রয়াস। কিন্তু বৈঠক পরবর্তী বর্তমান ঘটনাপুঞ্জি ঐক্যমত্যের আশা চূর্ণ করে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ঘাড়ে যে উন্নয়নের নামে মুনাফার পাহাড় তৈরির খাঁড়া নেমে আসতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির একটা বড় অংশে উগ্র দক্ষিণপন্থী সরকার ক্ষমতাসীন। ফলে, বৈঠকের এই দিশাহীনতার কারণ সহজেই অনুমেয়। 

এবারের বৈঠকের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি ২০১৫-র আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব স্বীকার করে তার থেকে বেরিয়ে আসতে অতি-ডান পথে সুরাহা খুঁজছে। বর্তমানে এগিয়ে থাকা অর্থনীতিগুলিতেই যে ব্যাঙ্কগুলির কারেন্ট অ্যাকাউন্টে গোলমালের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তা যৌথ বিবৃতিতে মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটা অংশগ্রহণকারী দেশের ব্যাঙ্কগুলির কাঠামোগত পরিবর্তনের নিদান দেওয়া হয়েছে যা এই ব্যাঙ্কগুলিকে সংকট থেকে বের করে আনারই প্রচেষ্টা। প্রতিটা দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কতটা ভ্রান্ত তা বর্তমানে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর পর দুজন গভর্নরের মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ঘনিষ্ঠ এক আমলাকে সে পদে বসিয়ে রাখার পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। অন্যদিকে, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন ভারতের বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ যা এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটেই প্রস্ফুটিত হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টারের উপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে আয়করের বদলে পরোক্ষ করের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত সম্বলটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে মোদী সরকার।

বৈঠকে বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী ও পীযূষ গোয়েল। নোটবন্দীর ভাঁওতার সময় থেকেই এই বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান বেশ কড়া। ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রণয়নের ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে রেশন কার্ড বাতিল হয়ে গিয়ে সমগ্র গণবণ্টন ব্যবস্থাই ধসে পড়েছে; অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যাও তাই উপজাতিদের মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বৈঠকে ‘তথ্য’-এর বৈশিষ্ট্যের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের নিদান আসলে শেয়ার মার্কেটকে চাঙ্গা করারই পরোক্ষ প্রয়াস। যৌথ বিবৃতিতে ইন্টেলেকচুয়াল সম্পত্তির প্রসঙ্গের উল্লেখ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে আগামী দিনে পেটেন্ট আইনেও বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। বর্তমানে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনিত কর্মসংস্থান হ্রাসের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রতিটা দেশ।

বৈঠকে কোটার ভিত্তিতে আই.এম.এফ-এর সদস্যপদ বিলি বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। বৈঠক চলাকালীন ভারত স্বেচ্ছায় আন্তর্জাতিক মহাজনী সংস্থা ‘প্যারিস ক্লাব’-এর সদস্য হয়ে অফিশিয়াল ঋণ প্রদানের পদ্ধতির পরিবর্তন মারফৎ ঋণদাতাদের উৎসাহিত করার অঙ্গিকার নিয়েছে। গ্রীসের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বিন্দুমাত্র শিক্ষা না নিয়ে, ঋণ শোধের বিষয়ে একদমই মাথা না ঘামিয়ে কেবল যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি উৎকোচ গ্রহণকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাছাড়া, ক্রিপ্টো অ্যাসেটকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার পরিপন্থী হিসেবে ধরা হয়নি। ড্রাগ ও অস্ত্রের কালো বাজারি ত্বরান্বিত করাই পরোক্ষ উদ্দেশ্য।   

গ্লোবাল ফোরাম অন স্টিল এক্সেস ক্যাপাসিটি (গেফসেক) মারফৎ আন্তর্জাতিক স্টিল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য আফ্রিকার উপরে বিশেষ উৎসাহ দেখিয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করার বয়স বাড়িয়ে এবং তাদের পেনশান ব্যবস্থা উধাও করে দেওয়ার চক্রান্তে সিলমোহর দিয়েছে প্রতিটা অংশগ্রহণকারী দেশ। প্রাইভেট সেক্টরের ইচ্ছা অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী দেশগুলির শ্রমমন্ত্রীদের দেশের শ্রম আইনে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকার দেশের ৪৪টি শ্রম আইন বাতিল করে একটি অভিন্ন শ্রম কোড বিল আনার পরিকল্পনা করেছে যার মাধ্যমে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা খর্ব হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।    

ফিনানশিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স মারফৎ সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক লেনদেন ও তহবিলের উৎস ট্র্যাক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট মারফৎ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরব কতৃক ইয়েমেনে মানবতার সংকট প্রসঙ্গে কেবল ফরাসী প্রেসিডেন্ট মাক্রুঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মিউ মিউ করলেও এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা তো দূরে থাক, নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয়নি। শরণার্থী সংকট সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও সুরাহার জন্য কোনও প্রায়োগিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বাজার নির্ভর বিনিয়োগের উপর জোড় দেওয়া হয়েছে। মুনাফার পাহাড়ের চূড়া বাড়িয়ে তুলতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পত্তনের নিদান ছাড়া স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে বাকি সকল বক্তব্য অর্থহীন ফাঁকা বুলি মাত্র। কুলিং সেক্টরে ইনোভেশান এবং মাইক্রোবায়োলজি সংক্রান্ত গবেষণায় বিনিয়োগের উপরেও জোড় দেওয়া হয়েছে।

নারী ক্ষমতায়ণ প্রসঙ্গে লিঙ্গ সাম্য, সম কাজে পুরুষের সমান বেতনের মত বিপ্লবী বুলি আওড়ানো হলেও মহিলাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিই বাদ পড়েছে আলোচনার বিষয় হিসেবে। প্রাইভেট সেক্টরে মহিলাদের প্রবেশ এবং মহিলা উদ্যোগপতির সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়েই জি-২০ ভুক্ত দেশগুলি তাদের ঢাক পেটানো ‘পিঙ্ক অ্যাজেন্ডা’ ঘাড় থেকে নামাতে চেয়েছে। সাম্প্রতিক বাজেটেও ভারতের অর্থমন্ত্রী একই পন্থা অবলম্বন করেছেন। তালিকাভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ৫০০০ টাকা অনুদান এবং গোষ্ঠী প্রতি একজন সদস্যকে ১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান নিয়ে পুরো বাজেটই যেখানে ধোঁয়াশায় সেখানে মহিলাদের কর্মসংস্থান তো দুরস্ত।

পরিবেশ প্রসঙ্গে দিশাহীনতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরি পরিলক্ষিত হয়েছে। প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের দেশকে বের করে আনার সিদ্ধান্তের যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প তার দেশের করদাতা ও শ্রমিকদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনার কথা দর্শেছেন! অন্যদিকে, বায়ু দূষণ কমানোর নামে জ্বালানি তেলের উপর থেকে সরকারি ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করেছে।

ট্রেড যুদ্ধ এড়াতে ট্রাম্প চীনের পণ্যের উপর তারিফ বৃদ্ধির পথ থেকে সরে এসে আলোচনার পথ খুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন কিন্তু হংকং-এর অচলাবস্থার সুযোগে তাইওয়ানকে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের প্রতিবাদে চীন তাদের দেশে অবস্থিত মার্কিন সংস্থাগুলির উপর অর্থনৈতিক স্যাংশান প্রয়োগ করতে চলেছে। একই সাথে, ভারতে মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত তারিফ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছেন ট্রাম্প। ভারত হার্লে-ডেভিডসান বাইকের উপর কর কমালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের আমদানিকৃত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর অতিরিক্ত করারোপ করে রেখেছে। বর্তমানে ‘৩০১ প্রোব’ অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ভারতীয় পণ্যের উপর মার্কিন ‘অর্থনৈতিক স্যাংশান’ প্রয়োগের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বৈঠক চলাকালীন ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে দেখা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বৈঠক পরবর্তী সময়ে তাঁর কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পূর্বতন হ্যানোই মিটিং-এর থেকে বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। অন্যদিকে, পূর্বতন ‘নাফটা’ চুক্তির বদলে ২০১৮ জি-২০ বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই করা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন করতে গড়িমসি করছে মেক্সিকো ও ক্যানাডা। এবারের বৈঠকেও কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। এই নতুন চুক্তি পূর্বতন নাফটার তুলনায় মেক্সিকো ও ক্যানাডার অটোমোটিভ উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ করার সাথে সাথে পরিবেশগত এবং শ্রম কেন্দ্রিক কিছু নতুন নিয়মাবলী শর্তারোপ করেছে; অন্যদিকে, ক্যানাডার দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারের উপর মার্কিন আধিপত্য এবং মার্কিন পণ্যের উপর ক্যানাডাবাসির ক্ষেত্রে কর মুকুবের মাধ্যমে ক্যানাডার বাজারে তার বিস্তারের পথ সুগম হয়েছে এই নতুন এগ্রিমেন্ট মারফৎ।

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট

ট্রাম্প-মোদী বৈঠকে চীনের হুয়ায়েই ৫জি প্রযুক্তি বর্জনের আর্জি জানানো হলেও ভারত তাতে সায় দেয়নি কিন্তু ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোক্ষ সমর্থনে সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় বাজেটে ভারত ইরানের চালাবার পোর্টের উপর বিনিয়োগ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ চীন-মার্কিন উভয় শক্তির সঙ্গেই ভারত আর্থিক দিক থেকে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তাছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার ট্রেড টার্গেট গ্রহণ করেছে। জি-২০তে রাশিয়ার পরিস্থিতি সবচেয়ে নড়বড়ে। লক্ষণীয়, রুশ মিসাইল সিস্টেম এস-৪০০ সংক্রান্ত চুক্তিতে ভারত স্বাক্ষর করলেও ট্রাম্প নিরুত্তাপ কিন্তু তুরস্ক সেই চুক্তিতে অংশগ্রহণ করায় তার উপর মার্কিন অর্থনৈতিক স্যাংশানের খাঁড়া ঝুলছে।

২০১৮-র গ্লোবাল নোশনাল ডেরিভেটিভ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল গ্লোবাল জিডিপির ৫৪০%-এর কাছাকাছি! ফলে, ম্যাচিউরিটির সময়ের মধ্যে উৎপাদন দাম ও শ্রমশক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি না হলে আবার নেমে আসতে চলেছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা। নয়াউদারবাদী যুগে বিশ্ব অর্থনীতির রুগ্ন দশাকে জোড়া-তাপ্পি দেওয়ার এই দিশাহীন বৈঠক কতক্ষণ নিজের গুরুত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে সেটাই এখন প্রশ্ন।  

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *