সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মুখোশের আড়ালে যে আসলে সাম্প্রদায়িকতা এবং দাঙ্গার আগুনকে ছড়িয়ে দিতে উদ্যত কলকাতা হাইকোর্টের গুরুভাগ, তাই স্পষ্ট হয়ে গেল গত দু‘দিনের কলকাতা হাইকোর্টের আচরণে।
গত ৬ই ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ বিজেপি-র “রথযাত্রা”-র অনুমতি নাকচ করে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি আবেদন করলে ৭ই ডিসেম্বর বিজেপির আবেদনের সমর্থন করেন হাইকোর্টের দুই তৃতীয়াংশ আইনজীবি। ডিভিশন বেঞ্চ সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে এবং তা বিজেপি নেতৃত্বের সাথে আলোচনার মাধ্যমে।ধর্ম ও রাজনীতির এই খেলায় কোর্ট-এর অবস্থান তবে কি?

এদিকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এবং বিজেপি প্রেরিত সিবিআই – পরস্পরকে দেখানো এই ‘জুজু’-র ভিত্তিতে তৃণমূল-বিজেপির ডিলের পরিণাম কি হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না (ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সচিব সহ, শ্রীকান্ত মেহতা এবং তৃণমূল সাংসদ সুব্রত বক্সী ও ডেরেক ও’ ব্রায়েনের কাছে সিবিআই-এর নোটিশ পৌঁছেছে); এবং যুযুধান দুই সাম্প্রদায়িক পক্ষই যে একদিকে ‘রথযাত্রা‘ আর উল্টোদিকে ‘পবিত্র যাত্রা‘-র স্রোতে হিংসাই বয়ে আনবে, অতীতের একাধিক হিংসার ঘটনায় বাংলার জনগণের কাছে তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই।

তাই, মমতা ব্যানার্জীর “ধর্ম আমার ধর্ম তোমার”-এর সুরে যারা বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার এবং নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দেখছেন, সেই সমস্ত তথাকথিত বাম নেতাদের তন্দ্রাভঙ্গ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল বা কংগ্রেসকে সাথী করে কখনোই সাম্প্রদায়িকতাকে রোখা যাবে না ।



