পাহাড় ফাটিয়ে গেছি হাড়ে হাড়ে জোড়া ডিনামাইটে
নিচে খনি ভরা ছিল, আমাদের পড়েনি তো চোখ
সধবার ফিকশানে, বিধবার হিউম্যানরাইটে
আমার পাকস্থলী পৃথিবীর রাজধানী হোক
আমিই ঢেলেছি জল বুদ্ধের বোধি বৃক্ষতে
জাতকের হাঁস হয়ে নামিয়েছি সোনার পালক
কাঠুরে কুঠার হাতে আধমরা
যীশু ঝোলে ক্রুশে
আমার পাকস্থলী পৃথিবীর ভ্যাটিকান হোক
ধূলো, ঘামে গাদাগাদি পুরোনো জোয়ান একই রেটে
বকলস পরিয়ে শুধু কিনে নেওয়া জীবনের পেটেন্ট
কুঁজেতে শুকোয় জল, অবসাদ আসে শিরা ছিঁড়ে
ক্লান্তি পুঁজির মতো যত যায়, দ্বিগুন আসে ফিরে
শহরে ফিল্মি আলো, প্রেমিক প্রেমিকারা আসে ক্লোজে
সূর্য টা আকাশেতে ওঠে রোজ দুশো টাকা রোজে
প্রফিটের চাঙড় চাগিয়ে হাতে থাকে কড়া, হাজা
আমিই উৎপাদন পেটে ধরি, মালিকেরা বাঁজা
আমিই অমৃত তুলে হেমলক গিলি ঢোক ঢোক
আমার পাকস্থলী নিয়ে যত রাসলীলা হোক
শহরে, বাজারে খুন মূল্যবৃদ্ধি-গিলোটিনে
জলা জঙ্গল ঘেঁটে বাড়ি নিয়ে ফিরি শুধু জোঁক
তারাদের প্রেস মিটে, গ্ল্যামারাস ফ্রন্ট ম্যাগাজিনে
আমার পাকস্থলী পৃথিবীর আইকন হোক
অফিসেতে গাধা খাটা, সংসারে পড়ে ইমপ্যাক্ট
খাতিরে দেয়না কেউ ভালোবেসে কেয়ার রিএক্ট
স্যালারি তে ঘুন ধরে ইএমআই হাঁড়ি ভাঙে হাটে
নিজেকে সেলাই করে পথে রাখি যতবার ফাটে
চাকরিতে পড়ে থাকা প্রেমিকাকে বলে আজ সানডে
চুমু গুলো জমা থাকে বিষাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে
প্রেম আর যুদ্ধ একই বারো ঘন্টার গোলামী তে
মুনাফা সঁপেছি দুই হাতে গোলাপের সমাধি তে
তবুও শিথিল দেহ, অবসরে ডেকে আনা শোক
আমার পাকস্থলী কবিদের ফুলদানি হোক
সভ্যতা চাষী হয়ে বিপ্লবে ঘামিয়েছি মাথা
সরলতা দিয়ে গড়া দুটো হাত শ্রমের চাতক
যন্ত্রের সহবাস এ লেখা হয় এই যুগ গাথা
আমার পাকস্থলী, প্রযুক্তির কান্ডারী হোক
ডেমোক্রেসির মা ডিবেটে শোনাক বড়ো গলা
রেমিডির থিওরি নামাক, তত্ব জ্ঞানী লোক
ক্রাইসিসে ক্ষয়ে গেলে পুঁজি তন্ত্রের শুকতলা
আমার পাকস্থলী স্পেশাল ইকোনোমি জোন হোক !