কলকাতা তখন একটা লাল আগুনের বল 
ছটফটে বালিকার মতো কেবলি ফ্রক পাল্টাচ্ছে সময় 
ভানু শৃঙ্গের জানলায় বস্তুবাদী হাঁসেদের স্নান ভেসে আসছেনা আর 
গ্রাম থেকে আসা জম্বীদের তাড়া খেয়ে পায়রার খোপে ঢুকে গেছে মধ্যবিত্তের আবেগ 
ভয় নেই একটু বাদেই দয়াময়ের পুনর্জন্ম হবে  প্রথমে একচোট কেঁদে নেবেন তিনি 
তার পর ভিক্তোরিয়ান ট্রেডমার্ক দেওয়া ছেঁড়া কাঁথা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জেগে উঠবেন কাস্তে হাতুড়ির আওয়াজে 
রাষ্ট্রের পাছায় এঁকে দেবেন  স্বৈরতান্ত্রিক ট্যাটু 
সাঁজোয়া পুতুল নাচের পালা গুঁড়িয়ে দেবেন 
মর্গ-কলকাতা, ইট কাঠ অন্ধকার, ঘিঞ্জি বস্তির মিসিসিপি, এসব বানিয়ে বানিয়ে সত্যি কথা বলে যাবেন অনর্গল 
তাকে প্রাগৌতিহাসিক, আর তার স্পর্ধা কে অ্যানারকিসম্‌ ভেবে কলার খোসায় পা দেওয়া জোকারের মত আছাড় খাবো আমরা 
আসলে লেখা একটা যুদ্ধ, যার সাইরেন শুনে 
সোনার মাসি পিসি  কিমবা কলকাতার নর্দমায় থাকা জীবিত কঙ্কাল গুলো আরেকবার  প্রতিশোধের শব্দ শোনে !
Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *