গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের অন লাইন ক্যাব মালিকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অন লাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ড’ ঘোষণা করে যে তারা সোমবার অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বর থেকে তিনদিন ব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু কয়েকঘণ্টা বাদেই তাদের সংগঠনের সভাপতি, তৃণমূলের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী এবং সারদা কান্ডে একদা জেল খাটা মদন মিত্র ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
এই ধর্মঘটে তৃণমূলের ওই সংগঠনটির মূল দাবিই ছিল ওলা-উবেরের ভাড়াবৃদ্ধি; এর পাশাপাশি আই-ডি ব্লক সহ আরো অন্যান্য বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে ধর্মঘট ডেকে ফের তা কয়েক ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই তুলে নেওয়ার কারণ কি?
অন্যদিকে, পিপল’স ব্রিগেডের ‘অন লাইন ক্যাব ড্রাইভার্স এন্ড অপারেটার্স কমিটি’–র তরফে আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে তৃণমূল বেইমানী করে এই ধর্মঘট তুলে নেবে। তবে কি এর পিছনে তৃণমূলের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে? ওলা-উবের শ্রমিকদেরকে তৃণমূলের নেতারা ব্যবহার করেছে দিনের পর দিন কেবল তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কাজে। পিপল’স ব্রিগেড ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই কোম্পানি ও সরকারের সাথে ড্রাইভার-অপারেটরদের যৌথ দর কষাকষির দাবী জানিয়ে আসছে; ওলা-উবেরের শ্রমিকরা এই প্রস্তাবে সাড়া দিলেও সরকার বা পরিবহন মন্ত্রক এখনও কর্ণপাত করেনি।
প্রায় প্রত্যেকটি উৎসবের দিনে চাকুরিজীবীদের কখনো অর্ধদিবস, কখনো পূর্ণদিবস ছুটি দিয়ে রাজ্য সরকার নজির তৈরী করেছে, কিন্তু সাধারণ মেহনতি শ্রমিকদের তো উৎসবের দিনে খাটতে হয় দ্বিগুণ। তাদের নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট যে এই শ্রমিক বিরোধী রাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না, আরো একবার তা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট হয়ে গেল এদিনের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘটনায়।



